পরিবেশবান্ধব কারখানায় অরিক্স ডিটারজেন্ট উৎপাদন
Published: 27th, July 2025 GMT
অত্যাধুনিক ইউরোপীয় প্রযুক্তিতে স্থাপিত কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে ‘অরিক্স’ ব্র্যান্ডের ডিটারজেন্ট। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পরিবেশবান্ধব এই কারখানা গড়ে তুলেছে রিমার্ক বাংলাদেশ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিমার্ক এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ডিটারজেন্ট কারখানাটি এরই মধ্যে পরিবেশ, শ্রম ও কর্মপরিবেশবান্ধব মডেল কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এটি ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড–২০২৫’ লাভ করেছে।
রিমার্ক জানায়, কারখানাটিতে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের ডিটারজেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে অরিক্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
রিমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ‘রিমার্ক শুরু থেকেই পরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতনভাবেই কাজ করে আসছে। এ জন্য ইউরোপীয় প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ভার্টিক্যাল ক্লোজ লুপ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ কারখানার প্রতিটি মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাস্ট কালেক্টরসহ ক্ষতিকর কেমিক্যাল অটোমেশনের মাধ্যমে শ্রমিকের হাতের স্পর্শ ছাড়াই ব্যবহৃত হচ্ছে। তা ছাড়া পিপিইসহ সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার কারণে শ্রমিকেরা প্রায় শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করে থাকেন। এরই স্বীকৃতি হিসেবে কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলতি বছর গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, যা আমাদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করেছে।’
রিমার্ক জানায়, প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতির ডিটারজেন্ট কারখানার বর্জ্য–পদার্থ পরিবেশে মিশে পানি ও মাটিকে দূষিত করে। কারখানার আশপাশে থাকা জলাশয় ও মাটির দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ডিটারজেন্ট তৈরিতে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা থেকে আগুন লাগার বা বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে। শুধু তা–ই নয়, ডিটারজেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি থেকে উচ্চ শব্দ হয়, যা শ্রমিকদের শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে। তবে অরিক্সের এই ফ্যাক্টরি এসব সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ অর ক স উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল