দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের
Published: 28th, July 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে মামুন সম্রাটকে (৪৩) হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিহত মামুনের স্ত্রী হাজেরা বেগম দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন। এতে নিহত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রীকে সাক্ষী করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামুনকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা আক্তার, মুক্তার বড় বোন সুমী আক্তার, ছোট বোন জান্নাত আক্তার, কক্সবাজারের রোজ গার্ডেন আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক এবং দাউদকান্দির মালিখিল গ্রামের বাসিন্দা আবু সাইদকে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে দুর্বৃত্তরা মামুনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মামুন কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ গৌরীপুর কাউন্টারে ছিলেন। বাসের টিকিট কাটার পর পাশের দোকান থেকে পানি কিনতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনকুমিল্লায় হত্যাসহ ২৩ মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা২৬ জুলাই ২০২৫মামুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেন (মুকবুল) ও হাওয়া আক্তার দম্পতির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে দাউদকান্দি ও তিতাসে হত্যা, মাদক, অপহরণ, দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে ২৩টি মামলা রয়েছে। তিনি প্রতিটি মামলায় জামিনে ছিলেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর গত শনিবার বিকেলে তাঁকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুনঅস্ত্র হাতে আগে থেকেই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষায় ছিল তিন দুর্বৃত্ত২৬ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ র আস ম হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক