ইরানে নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। সেই সঙ্গে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। গতকাল রোববার ইসরায়েল কাৎজ এসব হুমকি দেন।

ইসরায়েলের একটি পত্রিকা গতকাল দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ খবর প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি বলছে, ইসরায়েল কাৎজ দক্ষিণাঞ্চলে রামন বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে ইরানের প্রতি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আরও পড়ুনইসরায়েল কি ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে২৫ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখান থেকে স্বৈরশাসক খামেনিকে স্পষ্ট করে একটি বার্তা দিতে চাই, আপনি যদি ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রাখেন, আমাদের লম্বা হাত আরও শক্তিশালী হয়ে আবারও তেহরান অবধি পৌঁছে যাবে। এবার ব্যক্তিগতভাবে আপনার কাছেও পৌঁছে যাবে।’

যদিও ইসরায়েলের এমন হুমকির জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে হামলা শুরু করে। ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলে। এসব চলে টানা ১২ দিন ধরে।

আরও পড়ুনইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ইরান, পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হবে না: পেজেশকিয়ান২৩ জুলাই ২০২৫

এর মধ্যেই ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে তেহরানের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদে হামলা চালায় ইরান। এ ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে দুই দেশ।

আরও পড়ুনআমরা খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী২৭ জুন ২০২৫আরও পড়ুনইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এখন কোথায়২৬ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ইসর য় ল ক ন ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ