কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু ২ আগস্ট মধ্যরাতে
Published: 28th, July 2025 GMT
তিনমাস বন্ধ থাকার অপর আবারো কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ২ আগস্ট মধ্যরাত থেকে জেলেরা এই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “বিএফডিসি, ব্যবসায়ী সমিতি ও জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মতিক্রমে আগামী ২ আগস্ট মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হবে। ৩ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে মাছ ল্যান্ডিং ও পরিবহন শুরু হবে।”
আরো পড়ুন:
দীঘিনালায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
রাঙামাটির পাহাড়ে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জোবাইদা আক্তার, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহারুল ইসলাম মুকুল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি ডেপুটি ম্যানেজার মো.
কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনমাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য আহরণ আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ রক্ষায় জাটকা শিকারে আজ থেকে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী জাটকা ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা।
আগামী ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত চলবে এই ৮ মাস মেয়াদি নিষেধাজ্ঞা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ (জাটকা) আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (১৯ আশ্বিন থেকে ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়ন করা হয়। ওই সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে নিঃসৃত ডিমের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনা বর্তমানে উপকূলীয় নদ-নদী ও মোহনাসমূহে বিচরণ করছে। এসব পোনা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশের ইলিশ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে সরকার জানায়।
নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়া লাগতে পারে।
মৎস্য অধিদপ্তর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র্যাব, ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা