তিনমাস বন্ধ থাকার অপর আবারো কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ২ আগস্ট মধ্যরাত থেকে জেলেরা এই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। 

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “বিএফডিসি, ব্যবসায়ী সমিতি ও জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মতিক্রমে আগামী ২ আগস্ট মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হবে। ৩ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে মাছ ল্যান্ডিং ও পরিবহন শুরু হবে।” 

আরো পড়ুন:

দীঘিনালায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

রাঙামাটির পাহাড়ে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জোবাইদা আক্তার, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহারুল ইসলাম মুকুল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি ডেপুটি ম্যানেজার মো.

মাসুদ আলম ও মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। 

 

কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনমাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটি।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য আহরণ আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশ রক্ষায় জাটকা শিকারে আজ থেকে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী জাটকা ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা। 

আগামী ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত চলবে এই ৮ মাস মেয়াদি নিষেধাজ্ঞা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ (জাটকা) আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

এর আগে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ (১৯ আশ্বিন থেকে ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়ন করা হয়। ওই সময়ে ডিমওয়ালা ইলিশ থেকে নিঃসৃত ডিমের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনা বর্তমানে উপকূলীয় নদ-নদী ও মোহনাসমূহে বিচরণ করছে। এসব পোনা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশের ইলিশ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে সরকার জানায়।  

নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে অনধিক ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়া লাগতে পারে। 

মৎস্য অধিদপ্তর সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র‌্যাব, ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় কঠোরভাবে এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইলিশ রক্ষায় জাটকা শিকারে আজ থেকে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা