তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবেছে নোয়াখালীর মাইজদীর অধিকাংশ সড়ক
Published: 28th, July 2025 GMT
তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আবার জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে ডুবে গেছে শহরের অনেক সড়ক। পানি জমেছে বাসাবাড়ির আঙিনায়ও। এতে নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় মাইজদীতে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপকূলীয় এলাকায় মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আজ বিকেল চারটায় জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিনারায়ণপুর, আদালত সড়ক, হাকিম কোয়ার্টার সড়ক, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সড়ক ও সরকারি মহিলা কলেজ সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। জেলা জজ আদালত ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হন।
সরু নালার কারণে বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না বলে অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেন। লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জোবায়ের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় যে কটি নালা রয়েছে, প্রতিটি সরু। নামমাত্র নালা করা হয়েছে। নালা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় না। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই নালার ময়লা পানি উপচে আশপাশের সড়কে ও বাসাবাড়ির আঙিনায় ঢুকে পড়ে। বর্ষা শুরুর পর থেকেই নালার পানি মাড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে।
এদিকে শহরের টাউন হল মোড়সংলগ্ন সরকারি আবাসিক এলাকায় চলাচলের সড়কটি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ডুবে আছে। সড়কের দুই পাশের নালা উঁচু হওয়ায় সড়কটিতে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী, একটি জামে মসজিদের মুসল্লি প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সড়ক দিয়ে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, শহরের কৃষ্ণরামপুর এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার মানুষজন চলাচল করেন। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকা খুবই দুঃখজনক। অল্প বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে থাকার কারণে দোকানে ক্রেতারাও আসতে পারেন না।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পানি নিষ্কাশনের নালাগুলোতে পানির প্রবাহ ঠিক নেই। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই নালাগুলো উপচে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি করে। তবে জেলার জলাবদ্ধতা দূর করতে এক যোগে নয়টি উপজেলায় খাল পরিষ্কার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অল প ব ষ ট ত এল ক য় ম ইজদ শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’