ক্রিকেট মানেই আবেগ, আর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ হলে তো কথাই নেই। রাজনৈতিক বৈরিতা ও অতীতের নানা ঘটনার কারণে দুই দেশের মুখোমুখি হওয়া আজকাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কর। তবে আসন্ন এশিয়া কাপকে ঘিরে আবারও সেই উত্তেজনার আগুন জ্বলে উঠেছে। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে আট দলের এশিয়া কাপ। ভারত ও পাকিস্তান পড়েছে একই গ্রুপে। তবে সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় দলের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। যদিও বিসিসিআই ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে— তারা খেলবে, তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

সেই প্রেক্ষিতেই সৌরভ গাঙ্গুলী জানান, খেলাধুলা বন্ধ হওয়া উচিত নয়, বরং তার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। প্রিন্স অব ক্যালকাটা বলেন, “আমি পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই। তবে এমন ঘটনার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত নয়। ভারত সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আশা করি খেলাধুলার মাঠে শান্তিপূর্ণ লড়াই অব্যাহত থাকবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়া উচিত।”

আরো পড়ুন:

এশিয়া কাপের আগে হংকং দলে নতুন চমক

ওভাল টেস্টের ইংল্যান্ড দল ঘোষণা, ওভারটনের প্রত্যাবর্তন

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামেনি ভারতীয় দল। এরপর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি কটাক্ষ করে বলেছিলেন— ভারত ভয় পাচ্ছে! তবে এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে এখন আর কোনো দ্বিধা নেই। মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেই বসছে এবারের আসর।

দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে হবে এবারের লড়াই। গ্রুপ ‘এ’ তে আছে ভারত, পাকিস্তান, আমিরাত ও ওমান। গ্রুপ ‘বি’ তে লড়বে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত থাকলেও, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে তারা— বিসিসিআই ও পিসিবির চুক্তি অনুযায়ী। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগে গত ১০ বছর বাধা দেওয়া হয়েছিল: চীনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিগত সরকারের শেষ ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি চীন। এই দুই দলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সে সময়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, খোলাখুলিভাবে বললে, গত ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে, তাই তাঁরা পুনঃযোগাযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা এ ধরনের সফর বিনিময় ও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে চান।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে কীভাবে বাধা দেওয়া হতো, জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটি এখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তিনি কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটা উপস্থিত সাংবাদিকেরা বোঝেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গত মাসে চীন সফর করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর হয়। অন্যদিকে চলতি মাসে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে।

ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ