‘শাকিব খান ফিডার খায় না, বুবলী তাকে তাবিজ করে নাই’
Published: 29th, July 2025 GMT
শোবিজ অঙ্গনের তারকারা সাক্ষাৎকার দিতে গেলে কোনো না কোনোভাবে শাকিব খান প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তারা প্রত্যেকেই শাকিব, অপু আর বুবলীর ত্রিমুখী সম্পর্ককে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেন।
সম্প্রতি নতুন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা এই ত্রয়ীকে নিয়ে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শাকিব খান ফিডার খায় না, সে একটা ছোট বাচ্চা না। পুরো ইন্ডাস্ট্রি কাঁপাইতেছে তুফান, বরবাদ, প্রিয়তমা দিয়ে সেই মানুষটাকে বুবলীর মতো একটা নোয়াখালির মেয়ে এসে ধুম করে টেনে নিয়ে যাবে, সে কি তাবিজ করছে? এটা খুবই হাস্যকর একটা বিষয়। ভালোবাসা হইছে, প্রেম হইছে, হয়ে গেছে। বাচ্চাতো আর এমনি এমনি উপর থেকে টুপ করে পড়ে নাই। ’’
প্রিয়াঙ্কার মতে অপু বিশ্বাসের কারণে শান্তিতে নেই বুবলী। তিনি বলেন, ‘‘ওই মহিলা (অপু বিশ্বাস) সব সময় ভেজাল করে, শান্তিতে সংসারটাও করতে দেবে না বুবলীকে। যদি আপনার লাইফে কেউ থাকে, পরে যদি কেউ আসে তাহলে আগের মানুষটার আর কোনো ভ্যালু থাকে না। আগের মানুষটা যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে পরের মানুষটা আসার কথাই না। সো, পরের মানুষটাকে আমি এই হিসেবেই রাখবো।’’
আরো পড়ুন:
ঘরে বসেই দেখা যাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
শেহজাদের সঙ্গে বিদেশে ছুটি কাটাবেন শাকিব, থাকবেন বুবলীও
প্রিয়াঙ্কার ব্যখ্যা, ‘‘আমার লাইফে যদি সেকেন্ড কোনো মানুষ আসে, তাহলে বুঝতে হবে আমি প্রথম মানুষটাকে ভালোই বাসিনি। খুব সিম্পল একটা ব্যাপার। এরপরেও প্রথম মানুষটা যদি এমন লাফ-ঝাঁপ করে তাহলে প্রথম মানুষটার কোনো আত্মসম্মান বোধ নাই বলে আমি মনে করি। ’’
উল্লেখ্য, শাকিব-অপুর সম্পর্কের তিক্ততা যে একটু একটু করে অনেক খানি কেটে গেছে তা এখন আর নেটিজেনদের অজানা নয়। শাকিব-অপু আর জয় একই ফ্রেমে দেখা দিয়েছেন, তাদেরকে একই সঙ্গে ঘুরতেও দেখা গেছে। অন্যদিকে কিছুদিনের মধ্যেই বুবলী আর বীর আমেরিকায় শাকিব খানের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, সে খবরও কারও অজানা নয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’