ঝিনাইদহে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
Published: 29th, July 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেসময় রফিকুল ইসলাম নামের এক সন্ত্রাসীকেও আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে উপজেলার দেবীনগর গ্রাম থেকে তাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। রফিকুল দেবীনগর রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের দেবীনগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি পিস্তল, পিস্তলের ব্যারেল, পাঁচটি রাম দা, হাতুড়িসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।
১০ বেঙ্গলের সিও-এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে রফিকুলের বাড়ি থেকে এসব অস্ত্র এবং সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুম খান জানান, তাকে রাতেই শৈলকূপা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। শৈলকূপা সেনা ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ রফিকুলকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ঢাকা/সোহাগ/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’