আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন চীন ও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া। আরেক প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান।

আজ সিডনি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ড্র। যেখানে অংশগ্রহণকারী সব দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এএফসি। কিন্তু ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের কেউ ড্র অনুষ্ঠানে ছিলেন না।

মেয়েদের এশিয়ান কাপে এখন পর্যন্ত সফল দল চীন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৪ বার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁরা। ৩ মার্চ প্রথম ম্যাচেই চীনকে মোকাবিলা করতে হবে পিটার বাটলারের দলকে। ৬ মার্চ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ র‍্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বর দল উত্তর কোরিয়া। ১৯৮৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বার এশিয়ান কাপ খেলা দেশটি ২০০১, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে শিরোপা জিতেছে। আর পাঁচবার  এই টুর্নামেন্টে খেলা উজবেকিস্তানের সর্বোচ্চ দৌড় গ্রুপ পর্ব পর্যন্ত। ৯ মার্চ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।  

২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ভেন্যুতে হবে এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। ১২ দলের সেই লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার।

১২ দলের টুর্নামেন্টে তিন গ্রুপে থাকা চারটি করে দল লড়বে নকআউটের জন্য। তিন গ্রুপের সেরা দুটি করে মোট ৬ দল সরাসরি যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে তৃতীয় হওয়া তিন দলের সেরা দুই দলও পাবে শেষ আটে খেলার সুযোগ।

নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভাঙে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৪ ও ২০২২ আসরে পাঁচ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি মেয়েরা। কিন্তু গত ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই মিয়ানমারে হওয়া এশিয়ান বাছাইয়ে তিন ম্যাচের তিনটিতেই দাপুটে জয় তুলে নেয় তহুরা-আফঈদারা।

বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারের সঙ্গে ২-১ গোলে জেতে। প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পরই বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচটা নিজেদের থেকে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩ ধাপ পেছানো তুর্কমেনিস্তানকে সহজেই ৭-০ গোলে হারায়।

বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল একবার এশিয়ান কাপ খেলেছিল—১৯৮০ সালে কুয়েতে।

কোন গ্রুপে কারা‘এ’ : অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ফিলিপাইন
‘বি’ : উত্তর কোরিয়া, চীন, বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান
‘সি’ : জাপান, ভিয়েতনাম, ভারত, চাইনিজ তাইপে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ