মৎস্য অধিদপ্তরের দশম গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
Published: 29th, July 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের দশম গ্রেডভুক্ত ‘লাইব্রেরিয়ান’ পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৩০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ আগস্ট ২০২৫ (রোববার)। ওই দিন সকাল ১০টায় শুরু হবে পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ভবন, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সব মূল/সাময়িক সনদ, প্রবেশপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে) এবং চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল স্বাক্ষরিত ছাড়পত্রের মূল কপি অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২ ঘণ্টা আগেমৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে নিম্নলিখিত কাগজপত্রের ১ (এক) সেট সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে—
* সব শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
* বয়স প্রমাণের জন্য এসএসসি/সমমানের মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
* আবেদনকারী প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হলে পরিবর্তিত স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর/পৌরসভার মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি।
* জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) সত্যায়িত ফটোকপি।
* আবেদনপত্রের (Applicant's Copy) ২ (দুই) কপি।
* পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ২ (দুই) কপি।
* বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইকুইভ্যালেন্স কমিটি/শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ইকুইভ্যালেন্স সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
* নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
* সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত/সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল স্বাক্ষরিত ছাড়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
* মৌখিক পরীক্ষার দিন কমিশন চত্বরে মুঠোফোন ও কোনো প্রকার যোগাযোগযন্ত্রসহ প্রবেশ/ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না এবং বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্তে গুরুতর ঘাটতি পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ র কর ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
একাধিক যাত্রী জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় তারা টমটম নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার মধ্যে অটোরিকশার চালকরা টমটম থামিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের ৫২টি অটোরিকশা জব্দ করা রয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
কুড়িগ্রামে সেতুর পাটাতন দেবে আটকে গেল ট্রাক, যান চলাচল বন্ধ
তিনি আরো বলেন, ‘‘বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকেরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।’’
অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জব্দকৃত অটোরিকশা নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী আমাদের জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’’
দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা।
শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’
ঢাকা/পলাশ/বকুল