২০২৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে, গতকাল জানিয়েছে ইএসপিএন। আগামী বছর ১১ জুন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। এই তিন দেশের ১৬টি শহরে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপ।

আরও পড়ুনএমবাপ্পেই রিয়ালের নতুন ‘১০ নম্বর’২ ঘণ্টা আগে

ইএসপিএন ও টিউডিএন’মেক্সিকো জানিয়েছে, গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানের জন্য কানাডা ও মেক্সিকোর কিছু শহরও আলোচনায় ছিল। শেষ পর্যন্ত ভেগাসকেই বেছে নেওয়া হয়। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর এ ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকার নির্বাহী ও বিশ্বকাপের দলগুলোর অনুশীলনের জন্য মেক্সিকোকে বেছে নেওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানো পেদ্রো চেদিল্লো সম্প্রতি ইএসপিএনকে বলেছেন, ভেগাসেই ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি, ‘আমার ভুল না হলে ৫ ডিসেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আমার মনে হয়, এটা ভেগাসেই অনুষ্ঠিত হবে এবং পাচুকা শহরের বিষয়ে তথ্য দিতে আমাদের সেখানে থাকতে হবে।’

৪টি করে দল নিয়ে মোট ১২টি গ্রুপে ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ফিফার পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো গ্রুপ পর্বের ড্র কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি।

আরও পড়ুনউরুগুয়েকে উড়িয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল, টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের অপেক্ষা৪ ঘণ্টা আগে

১৯৯৪ বিশ্বকাপও আয়োজিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সেবারও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয় লাস ভেগাসে, সেখানকার লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে। তবে সেবার বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি লাস ভেগাসে। ইএসপিএন জানিয়েছে, এ ভেন্যুসহ অন্য আরও কয়েকটি ভেন্যু ৫ ডিসেম্বরের জন্য বুক করা হয়েছে।

লাস ভেগাসের ‘স্ফেয়ার’ সেন্টারে ৫৪ হাজার বর্গমিটার আয়তনের স্ক্রিন আছে এবং ১৭ হাজার ৫০০ মানুষ সেখানে একসঙ্গে বসতে পারেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, সেখানে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে স্ফেয়ার সেন্টারের সূত্র ইএসপিএনকে জানিয়েছেন, ড্র সেখানে অনুষ্ঠিত হবে না। বার্তা সংস্থা এএফপিকেও একই তথ্য জানিয়েছেন এই সেন্টারের সূত্র।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প পর ব র ড র র ড র অন ষ ঠ ব শ বক প র ড স ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন

সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।

‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।

এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানি জার্সি নিয়ে বিতর্ক: খাজার প্রশ্ন, জার্সি ঢাকতে বলাটা কি বৈধ
  • চীন–কোরিয়াকে পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘আমরা হাল ছাড়ব না’
  • সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন