বন্দরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের ফাইবার কানেক্টিভিটির ফোর কোরের ক্যাবল চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা।

গত সোমবার ( ২৮ জুলাই) রাতে যে কোন সময়ে বন্দরের সিটি এলাকার ২১নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে একই সড়কের নৌ বাহিনী ডকইয়ার্ড (বি.

এন.ডি.ই.ডব্লিউ) হাই স্কুল পর্যন্ত এড়িয়া থেকে প্রায় ৭শ’ মিটার (৮০১১৯ নম্বর) ফাইবার তার নিয়ে যায় চোরের দলটি।

গুরুত্বপূর্ণ এসব তার চুরির ফলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সমূহ এবং সমাজ সেবা আওতাধীন, ভূমি সংস্কার বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর এই সকল অফিসের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

চুরি হওয়া তারের মূল্য প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ইডিসি প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায়ের সাইট ইনচার্জ মাহবুব আলম বাদী হয়ে ৩০জুলাই সকালে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে বিষয়টি ২৯ জুলাই দুপুরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে উল্লেখিত অঞ্চলের কতিপয় অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীদের কেউ এসব তার চুরির ঘটনাটি সংঘটিত করেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয় এর ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের এর ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন ফাইবার কানেক্টিভিটির ফোর কোর এর তার নং ৮০১১৯ যা ৫০ নং সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বি.এন.ডি.ই.ডব্লিউ হাই স্কুল পর্যন্ত ফাইবার তার চুরি গেছে।

এর ফলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সমূহ এবং সমাজ সেবা আওতাধীন, ভূমি সংস্কার বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর এই সকল অফিসের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প রকল প র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ