গাজীপুরে দিনে-দুপুরে পৌনে ৯ লাখ টাকা ছিনতাই
Published: 30th, July 2025 GMT
গাজীপুরে দিনে-দুপুরে প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পৌনে ৯ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার পাশে আজ বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ছিনতাই করা হয়।
দলিল লেখক জুলহাস উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় কালিয়াকৈর থানার পাশেই দলিল লেখকদের অফিস। সেখানে স্থানীয় ভেন্ডারেরা দলিল লিখে জমি রেজিস্ট্রেশন করেন। জমি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দলিল লেখক জুলহাস উদ্দিন তার ছেলে প্রিন্স ও ভাগ্নে রাশেদ খানকে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ভর্তি একটি ব্যাগে দিয়ে সোনালি ব্যাংকের কালিয়াকৈর বাজারের শাখায় পাঠান। তারা দুইজন টাকার ব্যাগ নিয়ে অটোরিকশা দিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা খাদ্য গুদামের কাছে পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী সাদা রঙয়ের প্রাইভেটকারে এসে তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা দুইজন ভয় পেয়ে যায়। তখন ছিনতাইকারীরা গাড়ি থেকে নেমে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দলিল লেখক জুলহাস উদ্দিন জানান, ছিনতাইকারীরা টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে দিনে-দুপুরে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই
‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: গ্রেপ্তার ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড
কালিয়াকৈর দলিল লেখক স্ট্যাম-ভেন্ডার সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা পুলিশে জানানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা টাকা উদ্ধারে কাজ করছেন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, পুলিশের দুটি টিম ঘটনা নিয়ে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই দল ল ল খ ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’