নাটোরে ডিজে পার্টিতে যাওয়ার পথে আটক ৫৭
Published: 1st, August 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকা থেকে ৫৭ জন কিশোরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রাম থেকে মিনি ট্রাকে করে বিলশা এলাকায় ডিজে পার্টি করতে যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়।
নাটোর সেনাবাহিনী ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ধানাইদহ এলাকা থেকে একদল কিশোর মিনি ট্রাকে করে বিলশা এলাকায় নৌকাভিত্তিক ডিজে পার্টির জন্য যাচ্ছিল। খুবজিপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল টিম তাদের গতিরোধ করে।
সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে তল্লাশি চালায় সেনাসদস্যরা। এ সময় ১২ জন কিশোরের কাছ থেকে চার লিটার বাংলা মদ, এক লিটার ভদকা, গাঁজা ৩০০ গ্রাম, গাঁজা সেবনের উপকরণ এবং ৪০ প্যাকেট বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ হয়। পরে আটককৃত সবাইকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরো পড়ুন:
কানসাটে গ্রেপ্তার নেত্রকোণার আ.
চিকিৎসককে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ গ্রেপ্তার ১০
গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক জানান, আটকদের মধ্যে ৪৫ জন কিশোরের বিরুদ্ধে সরাসরি মাদকের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’