জামালপুর সদর উপজেলায় চোর সন্দেহে পিটুনিতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ৪টার দিকে লক্ষীরচর ইউনিয়নের যথার্থপুর উজানপাড়া গ্রামে খোরশেদের বাড়িতে তাকে পিটুনি দেয়া হয়। 

স্থানীয়রা জানায়, ওই রাতে তিনজন চোর ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে মোবাইল চুরির চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে একজনকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার পর পিটুনি দেয়া হয়। এতে আহত হয়ে সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বারুয়ামারি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহজাদা মো.

আব্দুল আল মামুন জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা

পদ্মা সেতুর ঢালে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত

ঢাকা/শোভন/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ