টেকসই উন্নয়নে ভবিষ্যতের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে
Published: 3rd, August 2025 GMT
টেকসই উন্নয়ন মানে শুধু মুনাফা নয়। সামাজিক দায়িত্ব, পরিবেশের প্রতি সম্মান এবং কর্মীদের নিরাপত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলগত কাজ ও সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে।
‘ফিউচার অব সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক উইকে’র অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে গতকাল শনিবার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন পরিবেশবিষয়ক তরুণ লেখক ও গবেষক ফারাজ ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, আইএফসির দক্ষিণ এশিয়ার ইএসজি প্রজেক্ট লিড লোপা রহমান এবং উর্মি গ্রুপের পরিচালক শামরুখ ফখরুদ্দিন।
মূল বক্তব্যে জাভেদ আখতার বলেন, ‘সাসটেইনেবিলিটি এখন আর শুধু একটি বিভাগ বা প্রকল্পের বিষয় নয়, এটি প্রতিটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হলে সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নিজের জীবন ও কর্মের দায় নিতে হবে।’ তিনি ভবিষ্যতের ব্যবস্থাপকদের জন্য ব্যক্তিগত স্থিতিশীলতা ও আজীবন শেখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
লোপা রহমান বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন মানেই শুধু মুনাফা নয়। সামাজিক দায়িত্ব, পরিবেশের প্রতি সম্মান এবং কর্মীদের নিরাপত্তা—এই বিষয়গুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের তরুণেরা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে দুর্দান্ত। তাই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’
স্বাচ্ছন্দ্যের গণ্ডি থেকে বের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন শামরুখ ফখরুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইউনিলিভার ছেড়েছিলাম, অনেকে ভুল বলেছিল। কিন্তু আজ মনে করি, সেটাই আমাকে নতুন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করেছে।’ তিনি দলগত কাজ ও সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফারাজ ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সাসটেইনেবিলিটির জন্য প্রতিবছর চার ট্রিলিয়নের বেশি ডলার প্রয়োজন, অথচ আমরা তার এক-চতুর্থাংশের প্রতিশ্রুতি দিতে পারিনি। কিন্তু আমরা এই সংকটকে অর্থ দিয়ে নয়, উদ্ভাবনের মাধ্যমে জয় করতে পারি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপদেষ্টা শাহনীলা আজহার বলেন, সাসটেইনেবিলিটি ও ইনোভেশন আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর একটি। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের শুধু কর্মজীবনের জন্য নয়, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করতে চায়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো.
অনুষ্ঠানের শেষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম ‘সেন্টার ফর সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরিবেশবান্ধব, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনকে একত্রে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় পর ব শ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দলের গুলশানের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন।
বগুড়ায় সংসদীয় ৭টি আসনের মধ্যে ৬টির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসন থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম; বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আব্দুল মুহিত তালুকদার; বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন; বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসন থেকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ; বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহাজানপুর) আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই আসনটি শরীক দলকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন:
ফুটবলার থেকে রাজনীতিক: বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আমিনুল হক
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই নেতা
বগুড়ার দুটি আসন থেকে তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল করেছে।
ঢাকা/এনাম/বকুল