তিস্তার পানিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, নির্ঘুম রাত লালমনিরহাটবাসীর
Published: 4th, August 2025 GMT
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানির কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শত শত পরিবার। অনেকে গবাদি পশু ও সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধ ও বিদ্যালয়ে। প্লাবিত মানুষদের রাত কেটেছে চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে—কখন যে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে, সেই ভয়ে নির্ঘুম রাত পার করেছেন তারা।
রবিবার (৩ জুলাই) সারা দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় অনেকে বাড়ি ছেড়েছেন। পানি আরো বাড়াও আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে প্রশাসন।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এইচ.
তিনি আরো বলেন, “বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে শুকনো খাবার, চিঁড়া ও গুড়সহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানি বাড়ার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নামমাত্র কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না। পানি বেড়ে অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে শহরে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
দ্রুত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও টেকসই ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা/নিয়াজ/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’
ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি
ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!
কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।
৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।
ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।
গোল করলেন জেরেমি ডকু