৩০ বছরের পুরোনো হিমায়িত ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্ম
Published: 4th, August 2025 GMT
৩০ বছরেরও বেশি হিমায়িত অবস্থায় সংরক্ষণ করে রাখা ভ্রূণ থেকে সফলভাবে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতির ঘরে শিশুটির জন্ম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি বিশ্ব রেকর্ড।
গত ২৬ জুলাই ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে ও ৩৪ বছর বয়সী টিম পিয়ার্স দম্পতির ঘরে শিশুটির জন্ম হয়েছে। নবজাতকের নাম দেওয়া হয়েছে থ্যাডিয়াস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। এমআইটি টেকনোলজি রিভিউকে লিন্ডসে বলেন, ‘আমার পরিবারের কাছে এটাকে কোনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির দৃশ্য বলে মনে হচ্ছে।’
এর আগের রেকর্ডটি ছিল একজোড়া যমজ শিশুর। ওই যমজ শিশুর ভ্রূণ ১৯৯২ সাল থেকে হিমায়িত অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল। ২০২২ সালে প্রায় ৩০ বছর পর তাদের জন্ম হয়।
সাত বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর লিন্ডসে ও পিয়ার্স দম্পতি একটি হিমায়িত ভ্রূণ দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভ্রূণটি বর্তমানে ৬২ বছর বয়সী লিন্ডা আরচার্ড ও তাঁর সাবেক স্বামীর। ১৯৯৪ সালে আইভিএফের মাধ্যমে ভ্রূণটি গঠিত এবং এটি সংরক্ষণ করা হয়।
আইভিএফ পদ্ধতিতে লিন্ডা আরচার্ড দম্পতির চারটি ভ্রূণ গঠিত হয়েছিল। সেগুলোর একটি থেকে তাঁদের মেয়ের জন্ম হয়, যাঁর বয়স এখন ৩০ বছর। বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত করে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
পরে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও লিন্ডা ভ্রূণগুলো ফেলে দিতে, গবেষণার জন্য দান করতে বা অপরিচিত কোনো পরিবারকে দিতে রাজি ছিলেন না।
ভ্রূণগুলো সংরক্ষণে লিন্ডা প্রতিবছর অনেক অর্থ খরচ করতেন। পরে নাইটলাইট ক্রিশ্চিয়ান অ্যাডপশনস নামের একটি সংস্থার সন্ধান পান তিনি। সংস্থাটি খ্রিষ্টান দম্পতির ভ্রূণ দত্তক দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে তাদের স্নোফ্লেকস নামে একটি বিশেষ কর্মসূচিও আছে। এ ধরনের অনেক সংস্থাই মনে করে, এভাবে ভ্রূণ দত্তক দেওয়া মানে, একটি জীবন বাঁচানো।
স্নোফ্লেকস কর্মসূচির আওতায় ভ্রূণদাতা নিজের পছন্দমতো পরিবার বেছে নিতে পারেন। লিন্ডা চেয়েছিলেন, ভ্রূণটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিবাহিত, শ্বেতাঙ্গ, খ্রিষ্টান দম্পতির কাছে দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত পিয়ার্স দম্পতির সঙ্গে এ চাওয়ার সবকিছু মিলে যায়।
টেনেসিতে রিজয়েস ফার্টিলিটি নামের একটি আইভিএফ ক্লিনিকে পিয়ার্স দম্পতির চিকিৎসা হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বয়স বা অবস্থা যেমনই হোক, তারা যেকোনো ভ্রূণ পেলেই তা কোনো নারীর গর্ভে স্থানান্তরের চেষ্টা করে।
পিয়ার্স বলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী কোনো রেকর্ড ভাঙতে চাননি, শুধু একটা সন্তান চেয়েছিলেন।
আর লিন্ডা আরচার্ড বলেন, তিনি এখনো শিশুটিকে সামনাসামনি দেখেননি। তবে ছবিতে দেখে তাঁর মেয়ের সঙ্গে কিছুটা মিল পেয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৩০ বছর স রক ষ র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামের এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
২ / ৯দুটি বাসের মাঝখান দিয়ে বাম্পারে পা রেখে পার হচ্ছেন একজন।