হিলি বন্দরে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৭০ টাকা
Published: 4th, August 2025 GMT
দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে কমতে শুরু করেছে জিরার দাম। ৬০০ টাকার জিরা এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকায় কমেছে এই মসলার দাম।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে হিলি মসলা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৭০ টাকা। গত বছর এসময় জিরার কেজি ছিল ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দাম অর্ধেকে নেমেছে। দুই বছর আগে এই বন্দর বাজারে জিরার কেজি ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
হিলি মসলা বাজারে জিরা কিনতে আসা বিরামপুরের ক্রেতা শাহা আলম বলেন, “হিলি বাজারে জিরার দাম অনেক কমেছে। গত দুই মাস আগে যে জিরা ৬০০ টাকার উপরে কিনেছিলাম, আজ তা কিনলাম ৫৩০ টাকা কেজি হিসেবে। দাম কম হওয়ায় এক কেজি জিরা কিনেছি।”
আরো পড়ুন:
পাঁচ বিমার অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন বাড়ে: আনিসুজ্জামান
নয়ন নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, “কোরবানির ঈদ আসলেই আমাদের মসলার প্রয়োজন বেশি হয়। ঈদের আগেই হিলি মসলা বাজার থেকে মসলা কিনি। আজ জিরা কিনতে এসেছিলাম। কোরবানির ঈদে জিরা ৬১০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। আজ সেই জিরা ৫৩০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।”
হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন শাওন বলেন, “হিলি বন্দরে প্রচুর জিরা আমদানি হয়েছে। বর্তমানেও আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন মসলার বেচাবিক্রি একেবারে কম। সবমিলিয়ে কমে গেছে জিরার দাম। হয়তো দাম আরো কমতে পারে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।
সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।
মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।