প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “দুইটি প্রকল্পের আওতায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের ১৬৫টি উপজেলাসহ বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সবগুলো উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করা হবে।”

রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জেলার স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা.

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “চরাঞ্চল ও দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি ও সুবিধা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি

প্রধান শিক্ষক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতির বিষয়ে ঝুলে থাকা একটি মামলার নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে। অচিরেই এসব মামলার সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের সংকটও অনেকটাই কমে আসবে।”

তিনি আরো বলেন, “উপজেলা পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সংকট থাকলেও সেটি অচিরেই নিরসনসহ শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে শিক্ষা অধিদপ্তর।”

মতবিনিময় সভায় রংপুরের জেলা প্রশাসকসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ