আর স্বপ্ন বা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়: তারেক রহমান
Published: 4th, August 2025 GMT
দেশের জনগণ পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চায়।’ বিএনপি জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, শহীদদের সম্মান জানাতে হলে যে প্রত্যাশা নিয়ে তাঁরা রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন করতে হবে। বিগত সময়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যাঁরা স্বৈরাচার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাঁদের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে হলে দেশকে সামনে নিয়ে যেতে হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে পরিবেশ রক্ষায় ৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছের চারা লাগানো হবে বলে জানান তারেক রহমান। একই সঙ্গে ক্ষমতায় এলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয় কর্মসূচি হিসেবে পরিচিত খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। জনগণই বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস বলে উল্লেখ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির নেতারা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন অন ষ ঠ ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের কাছে সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়া বলে উল্লেখ করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ।
তিনি বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা বাস্তবায়ন করা, যাতে সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে সকল ভূমিসংক্রান্ত সেবা নিতে পারেন।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কম্পিউটার ল্যাবে ‘মানোন্নীত অটোমেটেড ভূমিসেবা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুর বিভাগের চারটি জেলা-রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম-এবং খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থেকে কম্পিউটার অপারেটর পর্যায় পর্যন্ত) এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প।
সিনিয়র সচিব বলেন, “বাংলাদেশের ভূমিসেবা এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল রূপ নিয়েছে। নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনলাইন সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে নতুন কেন্দ্র স্থাপনও চলছে। তবে শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, বরং জনসচেতনতা, সেবাদাতাদের আন্তরিকতা এবং দক্ষ জনবলের সমন্বয়ই ভূমিসেবা ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করবে।”
তিনি আরো বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানো, যাতে তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এতে জ্ঞান দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, এবং প্রশাসনের সব স্তরে অটোমেটেড সেবার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত হবে।”
সিনিয়র সচিব মনে করেন, “প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তারা শুধু প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা অর্জন করবেন না, বরং ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের কৌশলও শিখবেন। এতে নাগরিক ভোগান্তি কমবে, সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।
ঢাকা/এএএম/এসবি