মেয়ে সুহাইরার জন্য বাঁচতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক তাহসিন আজমী, ডেঙ্গুতে মৃত্যু
Published: 5th, August 2025 GMT
দেড় বছরের সুহাইরা কখনো খেলছে, আবার কখনো কাঁদছে খিদেয় কিংবা মায়ের কোলের জন্য। ছোট্ট দুধের শিশুটি বুঝতে পারছে না তার মা আর কখনো ফিরবেন না। অথচ এই সুহাইরার জন্য বাঁচতে চেয়েছিলেন মা চিকিৎসক তাহসিন আজমী। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে সুহাইরার জন্য বাঁচতে হবে।’
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত রোববার মৃত্যু হয় তরুণ চিকিৎসক তাহসিন আজমীর। তিনি চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ইয়ংওয়ান লিমিটেডে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন। স্বামী তৌহিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। থাকতেন হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।
২৯ জুলাই তাহসিন আজমীর জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৩১ জুলাই তাহসিনের রক্তে অণুচক্রিকা ৩০ হাজারে নেমে আসে। তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। গত শুক্রবার সকালে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাহসিনকে।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোপলিটন হাসপাতালে রক্তচাপ কমে যাচ্ছিল। তাকে এইচডিইউতে নেওয়া হয়। কিন্তু ওখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো হচ্ছিল ধীরগতিতে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও দেখছিলেন। হাসপাতাল থেকে রোগী ভালো আছে বলা হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার রাতে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।’
২৯ জুলাই তাহসিন আজমীর জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ৩১ জুলাই তাহসিনের রক্তে অণুচক্রিকা ৩০ হাজারে নেমে আসে। তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সকালে নগরের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাহসিনকে।দিশাহারা তৌহিদুল ইসলাম কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। দ্রুত খারাপ হতে থাকে পরিস্থিতি। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে সারা রাত স্ত্রীর হাত ধরে বসে ছিলেন তৌহিদুল। বেঁচে থাকার জন্য তরুণ চিকিৎসক তাহসিনেও প্রাণপণ লড়াই করছিলেন।
তৌহিদুল বলেন, ‘তাহসিনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আমার হাত ধরে ছিল সে। আর বারবার বলেছে আমাকে সুহাইরার (মেয়ে) জন্য বাঁচতে হবে। এটাই তার শেষ কথা। এরপর জ্ঞান হারায়। পরে লাইফ সাপোর্টে চলে যায়। আমরা তাকে রোববার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে রাতে মারা যায়।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত হ দ ল ইসল ম র জন য জন য ব
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার থেকে অর্ধেক বয়সের ছেলেরা এখনো প্রেমের প্রস্তাব দেয়’
‘কাঁহো না… পেয়ার হ্যায়’—প্রথম সিনেমা দিয়েই ঝড় তুলেছিলেন বক্স অফিসে, ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন হাজারো তরুণের হৃদয়ে। এরপর নয় নয় করে ২৫ বছর পার হয়েছে, আমিশা প্যাটেল পা দিয়েছেন ৫০-এ। তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার সেভাবে গতি পায়নি, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। ৫০ পেরিয়েও আমিশা এখনো ‘একা’। কেন বিয়ে করেননি সে প্রশ্ন বহুবার শুনতে হয়। সম্প্রতি রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্টে হাজির হয়ে বিয়ে নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী।
আমিশা জানিয়েছেন যে তিনি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কারণ তাঁকে অভিনয় ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল, যা তিনি করতে রাজি ছিলেন না। তিনি আরও যোগ করেন—তিনি এখনো বিয়ের প্রস্তাব পান, এমনকি তাঁর বয়সের অর্ধেকের কম বয়সী পুরুষদের কাছ থেকে।
আমিশা প্যাটেল। আইএমডিবি