বন্দরে ৭২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
Published: 5th, August 2025 GMT
বন্দরে ৭২ কেজি গাঁজা সহ মো. ইমরান (৩৪) ও মো. আসাদুল্লাহ (১৯) নামে ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব- ১১। এসময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
আটককৃত মো. ইমরান পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর মির্জাপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। মো. আসাদুল্লাহ নরসিংদীর রায়পুরার চরমধুয়া এলাকার আহসানুল্লাহর ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) সকালে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর কোম্পানি কমান্ডার মো.
র্যাব জানায়, আটককৃত মো. ইমরান ও মো. আসাদুল্লাহ পরস্পর যোগসাজশে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে একটি বিশেষ কৌশলে কুমিল্লা জেলা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৭২ কেজি গাঁজা জব্দকৃত প্রাইভেটকারে করে আনয়ন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পরিবহন করছিল।
এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ও তাদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা নানাবিধ কালা-কৌশল অবলম্বন করে। তাদের মধ্যে মো. ইমরান উক্ত প্রাইভেটকারের চালক এবং মো. আসাদুল্লাহ ওই প্রাইভেটকারের যাত্রীবেশে ছিলেন।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আস দ ল ল হ ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি বের হয়। র্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।
আরো পড়ুন:
গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগমসহ অন্তত ১৫ জন।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিক ও কর্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা আবুল হাসেম বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।”
পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের দাবি, “আমরা জিরো পয়েন্টে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করি। আকবর গ্রুপের লোকজন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে উসকানিমূলক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ