সিলেটে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ, পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার
Published: 5th, August 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং চা–বাগানের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহটি সেখানে ফেলে রাখা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলোর পাশের কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চা–শ্রমিকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম ইমাম উদ্দিন (৩৮)। তিনি উপজেলার মেদি গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে আটক ব্যক্তিরা হলেন চা–বাগানটির শ্রমিক আক্কেল প্রধান, নিরঞ্জন গোয়ালা ও কর্মকর্তা কপিল উদ্দিন।
মরদেহ পড়ে থাকার খবরে আজ সকাল থেকে জাফলং চা–বাগানে অবস্থান নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি নিয়ে চা–শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরে দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে জাফলং চা–বাগানে ইমাম উদ্দিনকে চোর সন্দেহে আটক করা হয়। এর আগে চা–বাগানে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরে চুরির অভিযোগে তাঁকে মারধরও করা হয়।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল বলেন, চা–বাগানের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে লাশ থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। একটি পক্ষ ইমামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করে। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে থামিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’