ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন শশী থারুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কমিটির একাধিক বৈঠক হয়েছে। ৪ আগস্ট ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সদস্যদের উত্থাপিত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মঙ্গলবার ইকোনোমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

থারুর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে ৩-৪টি বৈঠক করেছি এবং এটিই ছিল শেষ বৈঠক যেখানে পররাষ্ট্র সচিব আমাদের একটি ব্রিফিং দিয়েছেন। এই ব্রিফিংয়ে, সদস্যদের সব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব তাদের সবার উত্তর দিয়েছেন।”

তিনি জানান, কমিটি এখন তার প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে, যা সংসদে উপস্থাপন করা হবে। 

থারুর বলেন, “এর পরে একটি প্রতিবেদন লেখা, গ্রহণ করা এবং সংসদে উপস্থাপন করা আমাদের কাজ। তা করার আগে, আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব, কী পরামর্শ দেব তা আমি বলতে পারছি না।”

সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) কর্মকর্তারা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রমাণ উপস্থাপন করেন। এজেন্ডায় ২০২৪-২৫ সালের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুদানের দাবি সম্পর্কিত পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে দেওয়া সুপারিশের উপর সরকার গৃহীত পদক্ষেপের খসড়া প্রতিবেদনের পর্যালোচনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্যানেলটি এর আগে ২৭ জুন বৈঠক করেছিল। সেখানে তারা ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যত’ বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনেছিল। বৈঠকের পর, থারুর জানিয়েছিলেন, কমিটি ‘চারজন প্রথম শ্রেণীর বিশেষজ্ঞ’ এর অন্তর্দৃষ্টি থেকে উপকৃত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে প্রবেশকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

তিনি বলেছেন, “আপনারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের প্রতিবেদনটি দেখতে পাবেন.

.. আমরা (ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সমস্যা) নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমাদের একটি পরিসংখ্যান সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে আমাদের দেশে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা এখন হ্রাস পেয়েছে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ