বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ও কর্মধা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফানাই নদী ও গুগালি ছড়ার পুরাতন ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে জয়চন্ডী ইউনিয়নের গুগালি ছড়ার আগে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে দানাপুর ও ঘাগটিয়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

কর্মাধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ, টিলাবাড়ি ও রাঙ্গীছড়া গ্রামে ফানাই নদীর পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এই দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা পানিতে ডুবে যায়।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রাচীন চুনাখোলা মসজিদ

চীনে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বেইজিংয়ে নিহত ৩০

কর্মধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ গ্রামের ছালিক আহমদ বলেন, “এক বছর পার হলেও ফানাই নদীর ভাঙন মেরামত হয়নি। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করল। প্রায় ২০০ একর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।”

জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্য বলেন, “গত বছর গুগালি ছড়ার কয়েটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এক বছর পার হলেও এই ভাঙন মেরামত হয়নি। গত দুই দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। 

কুলাউড়া কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.

রুবেল রানা বলেন, “রের্কড পরিমাণ বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢলে পাকা আউশ ও আমন চারার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।”

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “মাঠ পর্যায়ে লোকজন কাজ করছে। এখনো আমাদের হাতে রির্পোট আসেনি। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।”

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল প ন বন দ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ