পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারে ৫টি গ্রাম প্লাবিত
Published: 5th, August 2025 GMT
বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ও কর্মধা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফানাই নদী ও গুগালি ছড়ার পুরাতন ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে জয়চন্ডী ইউনিয়নের গুগালি ছড়ার আগে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। ফলে দানাপুর ও ঘাগটিয়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
কর্মাধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ, টিলাবাড়ি ও রাঙ্গীছড়া গ্রামে ফানাই নদীর পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এই দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ একর পাকা আউশ ও ২০০ একর আমনের হালি চারা পানিতে ডুবে যায়।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রাচীন চুনাখোলা মসজিদ
চীনে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বেইজিংয়ে নিহত ৩০
কর্মধা ইউনিয়নের নুনা হোসেনাবাদ গ্রামের ছালিক আহমদ বলেন, “এক বছর পার হলেও ফানাই নদীর ভাঙন মেরামত হয়নি। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করল। প্রায় ২০০ একর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।”
জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্য বলেন, “গত বছর গুগালি ছড়ার কয়েটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এক বছর পার হলেও এই ভাঙন মেরামত হয়নি। গত দুই দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
কুলাউড়া কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, “মাঠ পর্যায়ে লোকজন কাজ করছে। এখনো আমাদের হাতে রির্পোট আসেনি। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে কুলাউড়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।”
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল প ন বন দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই’
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ে জামায়াত ও সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন সমাবেশের পর বিক্ষোভ-মিছিল বের করে। কর্মসূচিতে দল দুটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউয়ের এই সমাবেশে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভোটের কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যাতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ জন্যই প্রয়োজন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।
সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর ও আশপাশের এলাকা থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগান লেখা ফেস্টুন।
মুজিবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আর এ দেশে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রশাসনের মধ্যে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের সরিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ যেসব দল ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। তাদের বিচার করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরের আমির জহির উদ্দিন মু. বাবর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ। আরও বক্তব্য দেন বরিশাল মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মাহমুদ হোসাইন, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাহমুদুন্নবী তালুকদার, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ। শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরের সদর রোডে