নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা অন্য এক শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আদর্শনগর বাজারের পাশে ধলাই নদে ওই বাল্কহেড ডুবে যায়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান মেলেনি।

নিখোঁজ দুই শ্রমিক হলেন জেলার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের মো.

জিয়াউর রহমান (২০) ও মো. মারুফ তালুকদার (২৪)।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে পূর্বধলার জারিয়া এলাকায় কংস নদ থেকে বালুবাহী বাল্কহেডটি মোহনগঞ্জের আদর্শনগর এলাকায় যাচ্ছিল। আদর্শনগর বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ধলাই নদের প্রবল স্রোতে সেটি তলিয়ে যায়। এ সময় নৌযানে থাকা জিয়াউর রহমান, মারুফ তালুকদার ও হক মিয়া পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। হক মিয়া সাঁতরে তীরে উঠলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ সকাল থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুমন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ দুজন শ্রমিকের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হনগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে খণ্ডকালীন শিক্ষক স্মরণ তালুকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্কুল চলাকালীন নবম শ্রেণির ক্লাসে শিক্ষক স্মরণ তালুকদার তিন ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন। এতে তারা আহত হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে খণ্ডকালীন পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’

অভিযুক্ত শিক্ষক স্মরণ তালুকদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এম এ কাদের বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইবাদ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি