জুলাই আন্দোলনে শহীদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাজিদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারকসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করে জবি শাখা ছাত্রদল।

এ সময় জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের প্রেরণার উৎস। তার স্বপ্ন ও আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতে এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমাদের আন্দোলনের আদর্শ ও আত্মত্যাগ কেউ ভুলিয়ে দিতে পারবে না।”

আরো পড়ুন:

ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ঠেকাতে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে

বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার অনেক চেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল

ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই উপহার কেবল সামান্য সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা শহীদদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।”

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহম্মেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শাহরিয়ার হোসেন, রবিউল আউয়াল, রাশেদ আহমেদ, অনিক প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র পর ব র ছ ত রদল আম দ র রহম ন উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ