জবির শহীদ সাজিদের পরিবারকে উপহার সামগ্রী দিল তারেক রহমান
Published: 5th, August 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে শহীদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাজিদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারকসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করে জবি শাখা ছাত্রদল।
এ সময় জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের প্রেরণার উৎস। তার স্বপ্ন ও আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতে এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমাদের আন্দোলনের আদর্শ ও আত্মত্যাগ কেউ ভুলিয়ে দিতে পারবে না।”
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ঠেকাতে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে
বাংলাদেশে বিভক্তি সৃষ্টি করার অনেক চেষ্টা হচ্ছে: ফখরুল
ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই উপহার কেবল সামান্য সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং তা শহীদদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহম্মেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, শাহরিয়ার হোসেন, রবিউল আউয়াল, রাশেদ আহমেদ, অনিক প্রমুখ।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র পর ব র ছ ত রদল আম দ র রহম ন উপহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের হুমকির কাছে পুতিনের মাথা নত করার সম্ভাবনা কম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আল্টিমেটামের কাছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মাথা নত করার সম্ভাবনা কম। তিনি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে দখলের লক্ষ্য ধরে রেখেছেন। ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং রাশিয়ার তেল কিনবে এমন দেশগুলোর উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
ক্রেমলিনে আলোচনার সাথে পরিচিত তিনটি সূত্রের মতে, রাশিয়া জয়লাভ করছে বলে পুতিনের বিশ্বাস। সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধে অর্থনৈতিক শাস্তির ধারাবাহিক ঢেউয়ের পরে বিশ্বে আরো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে এমন সন্দেহ থেকেই পুতিনের এই পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প উদ্দীপিত হয়েছে।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার নেতা ট্রাম্পকে রাগাতে চান না এবং তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি ওয়াশিংটন ও পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন। তবে এর মধ্যেও তার যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিনের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনীয় অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন সম্পূর্ণরূপে দখল করা, যেগুলোকে রাশিয়া নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং তারপর একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে কথা বলা।
‘দ্য রিটার্ন অফ রাশিয়া’-এর লেখক জেমস রজার্স বলেছেন, “পুতিন যদি রাশিয়ার জন্য দাবি করা চারটি অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে দখল করতে সক্ষম হন, তাহলে তিনি দাবি করতে পারেন যে ইউক্রেনে তার যুদ্ধ তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে।”
প্রথম রুশ সূত্রটি জানিয়েছে, পুতিন মার্কিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক অবনতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন। পুতিন এখনো আশাবাদী যে রাশিয়া আবার আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করতে এবং পশ্চিমাদের সাথে বাণিজ্য করতে পারবে।
মস্কোর বাহিনী প্রবল সামরিক চাপের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্র এবং ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে। তাই পুতিন বিশ্বাস করেন না যে এখন যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।
লেখক রজার্স জানিয়েছেন, পুতিন তার রাজনৈতিক খ্যাতি এবং উত্তরাধিকার ইউক্রেনের যুদ্ধে বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা তার পূর্ববর্তী লেখা ও বিবৃতি থেকে জানি যে তিনি রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষার জন্য পশ্চিমা এবং বিশ্বের বাকি অংশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর একটি শক্তিশালী ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে নিজেকে দেখেন।”
দ্বিতীয় রাশিয়ান সূত্রটি জানিয়েছে, “ক্রেমলিন নেতা ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ককে মূল্য দেন এবং তাকে রাগাতে চান না, তবে, তার কেবল একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে - ট্রাম্প কেবল এটি চান বলেই পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন না।”
ঢাকা/শাহেদ