আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান শামা ওবায়েদের
Published: 5th, August 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা আজকের এই দিনে প্রতিজ্ঞা করুন, যেকোনো মূল্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ, এখনো আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তারা বাংলাদেশকে একটি ষড়যন্ত্রের মুখে ফেলে দিতে চায়। বাংলাদেশের মাটিকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের পাশে একটি পথসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। সেখানে কথাগুলো বলেন বিএনপি নেত্রী।
শামা ওবায়েদ বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতা–কর্মী খুন ও গুম হয়েছেন। অনেক মায়ের বুক ও বাবার কোল খালি হয়েছে। বিএনপির নেতা–কর্মীরা হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। শেখ হাসিনার আয়নাঘর থেকে এখনো অনেক নেতা–কর্মী ফিরে আসতে পারেনি। এই বাংলাদেশের মাটিতে আয়নাঘর নামক কোনো বস্তু যেন আর সৃষ্টি না হয়।
জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, গত বছর জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশুদের মারা হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই পরিবারগুলোর দিকে এখন তাকানো যায় না। তারা আজকে কাঁদছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে এসেছিল, জীবন দিয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.                
      
				
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’