খুলনা জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে স্মৃতিচারণ, উন্মুক্ত আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

এ সময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার আশা আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার ঐক্যর কোনো বিকল্প নেই।”

আরো পড়ুন:

‘আমার ছেলেকে গোসল করাতেও দেয়নি ওরা’

বীরদের উৎসর্গ করে জুলাইয়ের গল্প শোনালেন সায়ান

তিনি আরো বলেন, “বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দীর্ঘ ১৭ বছরের অনিয়ম এক বছরে সমাধান করা সম্ভব নয়। সব সমস্যার সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আপনাদের সমালোচনা আমাদের ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।”

এ সময় তিনি ছাত্র-জনতা ও জুলাই যোদ্ধাদের ছোট ছোট পরামর্শগুলো সমস্যা সমাধানে কার্যকর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মো.

রেজাউল হক, শহীদ শেখ মো. সাকিব রায়হানের পিতা শেখ আজিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম তুহিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জুলাই যোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. হুজাইফা, মোহাম্মদ প্রান্ত, মোহাম্মদ শাহরিয়ার, মো. নয়ন, স্নিগ্ধা মুন্নি প্রমুখ স্মৃতিচারণ করেন।

অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্য, ছাত্র-জনতা, জুলাই যোদ্ধাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’

‘‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।’’ 

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে পথসভায় এমন কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতারা। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আগে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।

আরো পড়ুন:

গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা

চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী  মহানগর ও জেলার উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন, দলটির রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক তারিক উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘‘গত ৫৪ বছরে যারা শাসক হিসেবে ছিলেন, তারা কখনোই শাসন করেননি, শোষণ করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ মুক্তির যে আশা করেছিল, এখন পর্যন্ত তা দেখতে পায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী মুক্তির যে পথ দেখে ছিল, বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ দলের চাপে সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা হতে দেওয়া হবে না।’’ 

তারা বলেন, ‘‘বর্তমানে একটি দল আবারো ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করার জন্য তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। তারা পিআর বোঝেন না কিন্তু চাঁদাবাজি বোঝেন। আগে গণঅভ্যুত্থানের বিচার হবে, তারপর সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না।’’ 

এর আগে জুমার নামাজের পর জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাহেববাজার বড়মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের সাহেববাজার ও মনিচত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

এতে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মোজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন মনি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সভাপতি আবুল বাশার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলার সভাপতি হাফেজ আবুল হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি হাসিবুর রহমানসহ দলটির প্রায় ২০০ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’