বিএনপির সাংবাদিক হওয়ার দরকার নেই, জনগণের সাংবাদিক হোন: আমীর খসরু
Published: 5th, August 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনাদের বিএনপির সাংবাদিক হওয়ারও দরকার নেই। দেশের সাংবাদিক হোন, বাংলাদেশের জনগণের সাংবাদিক হোন, মানুষের সাংবাদিক হোন। এটাই হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের জামাল খান এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত সাংবাদিক ছাত্র–জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ব্যক্তির পক্ষে, একটি দলের পক্ষে অবস্থান নেয়—তারা সাংবাদিকতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তারা হয়ে গেছে দলীয় কর্মী। এই জিনিসগুলো আপনাদের অনুধাবন করতে হবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা চাই, নিরপেক্ষতা চাই। সাংবাদিকদের পেশাগত মানদণ্ড অক্ষত রাখতে হবে। এটাই হবে নতুন বাংলাদেশের শপথ। আগামী দিনে সাংবাদিকেরা যদি জনগণের কথা তুলে ধরতে পারে, স্বাধীনতার কথা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক অধিকার তুলে ধরতে পারে, তাহলেই হবে সফল সাংবাদিকতা। আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, কী ধরনের সাংবাদিকতা চাই।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, তাঁরা যতই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন, ততই বুঝতে পারছেন, এটি একটি ‘মেরুদণ্ডহীন’ প্রতিষ্ঠান।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোথায় কোথায় সমস্যা, তা তাঁরা জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। ইসি যে মেরুদণ্ডহীন একটি প্রতিষ্ঠান, তা তাদের কাজের মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে। তিনি বলেন, আগে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার ভোট ‘নেওয়ার’ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য পাঁয়তারা হচ্ছে। এনসিপি এখনো ইসির দুর্বলতা ও ভুলগুলো তুলে ধরে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাঁরা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে দেখেছেন, এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি পরা পোশাকে ও বাকিটুকু দলীয় পোশাকে আবৃত।
এই নির্বাচন কমিশনের অধীন এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আপাতত যে অবস্থায় আছি, সেটা আমরা বলেছি। যে গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারে নাই। এখনো ভোট নেওয়ার সিস্টেম নাই। যদি আমি ভোট নিতেই না পারি, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিতে আসে, আর আমাকে যদি বাধাগ্রস্ত করা হয়, ভোট নেওয়ার জন্য, তো সেখানে যখন আমি বুঝব আমাকে ভোট নিতে দিবে না, সেখানে গত ১৫ বছরে তো অনেকে ভোটে অংশগ্রহণ করে নাই। যদি আমাকে ভোট না দিতে দেয় তারা, তাহলে আমি কেন অংশগ্রহণ করব? কিন্তু এই প্রক্রিয়াটা এখনো অ্যান্ডিং প্রসেসে আসে নাই।’
নির্বাচন কমিশনকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে, দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং ভোট না দিতে চায়, তাহলে ফাইনালি হয়তোবা এ সিদ্ধান্তে যেতে আমরা বাধ্য হব।’
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে এনসিপিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইসির কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। সে পর্যবেক্ষণগুলোর আলোকে কিছু নতুন ডকুমেন্ট তাঁরা আজ ইসির কাছে জমা দিয়েছেন।