নরসিংদীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড, গৃহবধু নিহত
Published: 5th, August 2025 GMT
নরসিংদীতে অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। ঘটনার সময় দগ্ধ তার ২ শিশু সন্তান গুরুতর আহতবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন।
নিহত গৃহবধু আকলিমা বেগম (৩০) নরসিংদীর মাধবদী নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামের এমআর এমরানের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন।
অভিযোগ রয়েছে, নরসিংদী তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপক মাকসুদুর রহমানের পরোক্ষ মদদে তার নিজ এলাকা নুরালাপুর ও আলগী গ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নেই কোনো পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন:
দায়বদ্ধতা থেকে সাজিদের ভিসেরা রিপোর্ট দ্রুত নেওয়ার চেষ্টা করেছি: এআইজি আশরাফ
জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সিরাজগঞ্জে ৪ আগস্ট নিহত হয় ২৯ জন
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।
এর আগে, সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ১১টায় নরসিংদীর মাধবদী নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামের নিজ বসতঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় লিকেজ থেকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধু আকলিমা বেগম ও তার দুই সন্তানে সিয়াম (১২) ও সামিয়া (১৪) দগ্ধ হয়।
স্থানয়ীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আকলিমা বেগম রাতের খাবার গরম করার জন্য চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করেন। সে সেময় দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই সন্তানসহ আকলিমা আগুনে দগ্ধ হন।
পরে স্থানয়ীরা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে আকলিমার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ নরসিংদী তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপক মাকসুদুর রহমানের পরোক্ষ মদদে তার নিজ এলাকা নরসিংদীর মাধবদী নুরালাপুর ও আলগী এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছে একটি চক্র। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাবাসী কয়েকবার নরসিংদী তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানায়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আর সঠিক সময় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, সোমবার (৪ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ফেটে আগুন লাগায় শহর ও আশেপাশে এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সারাদিন গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ জেলার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এ বিষয়ে কথা বলতে নরসিংদী তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপক মাকসুদুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/হৃদয়/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আকল ম ম ধবদ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’