ইন্টার মায়ামি ৩: ১ পুমাস

পরনে গাঢ় রংয়ের শার্ট ও শর্টস। চোখ দুটো মাঠে আটকে। সেখানে খেলায় ব্যস্ত তাঁর ক্লাব সতীর্থরা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার তাঁর বেশ কাছের মানুষ। একজন তো সেই বার্সেলোনার দিনগুলো থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আরেকজন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সমর্থকদের কাছে তাঁর ‘দেহরক্ষী’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে তাঁর বন্ধু ও দেহরক্ষীর ওপর বিশেষ দায়িত্ব চেপেছিল—মেক্সিকান ক্লাব পুমাস ইউএনএএমের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামিকে জেতাতে হবে। বন্ধু কথা রেখেছেন এবং দেহরক্ষীও তাঁর দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেছেন। সেজন্যই সম্ভবত গ্যালারিতে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন মেসি।

আরও পড়ুনলা লিগায় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ১০ ফুটবলার৩৯ মিনিট আগে

চেজ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে লিগস কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের চূড়ান্ত ম্যাচে পুমাসকে ৩–১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। যুক্তরাস্ট্রের ক্লাবটির হয়ে প্রথম গোল করেন মেসির ‘দেহরক্ষী’খ্যাত রদ্রিগো দি পল। আর তাঁর বন্ধু সুয়ারেজ গোল করেন পেনাল্টি থেকে, সেটাও চোখজুড়ানো ‘পানেনকা’ শটে।

গত শনিবার নেকাক্সার বিপক্ষে চোট পাওয়ায় আজ মেসি খেলতে পারেননি। তবে গ্যালারি থেকে ম্যাচটা দেখেছেন। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দারুণ এক রেকর্ড ধরে রাখলেন কাছের মানুষরাই—কোনো টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে মেসিকে কখনোই বাদ পড়তে হয়নি।

গ্যালারিতে দর্শক মেসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ হরক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ফুটসাল টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আটক ১

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্ট’–এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজের ১১ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠে হামলা চালান। তাঁদের দাবি, স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী মামুনের নেতৃত্বেই পরিকল্পিত এ হামলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বীকার করেছেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশেই তিনি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে, যা শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। বালুচরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঠে খেলা চলাকালে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। আহতদের মধ্যে ১১ শিক্ষার্থী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। খেলার মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ