ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা হলো না গৌরাঙ্গেঁর। মোটরসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার বড়চালা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার। 

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে কালিয়াকৈর- মাওনা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক মানিকগঞ্জ সদরের স্বল্প নন্দপুর গ্রামের তুষ্ট চরণ মন্ডলের ছেলে গৌরাঙ্গঁ চন্দ্র মন্ডল (৫১)। তিনি শ্রীপুর উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে ছুটি শেষে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন গৌরাঙ্গঁ। উপজেলার বড়চালা এলাকায় পৌঁছলে সামনের দিকে থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি পিকাপ তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

কালিয়াকৈর ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) সুরুজ বলেন, “ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ