পা ছুঁতে চেয়েছিলেন দিব্য, বুকে জড়িয়ে ধরলেন আমির খান
Published: 15th, August 2025 GMT
স্বপ্ন কি দিনের বেলাতেও হানা দেয়? দেয়। না হলে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের এক ব্যস্ত রাস্তায় এমন অবিশ্বাস্য মুহূর্তের জন্ম হবে কেন? বাংলাদেশের তরুণ অভিনেতা দিব্য জ্যোতি সেদিন নিজের ভাগ্যকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বয়ং বলিউড কিংবদন্তি আমির খান! শুধু দাঁড়িয়েই থাকেননি, বাংলাদেশের এই তরুণকে বুকে জড়িয়ে ধরে পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন, জানিয়েছেন শুভকামনা। সিডনি থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দিব্য উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে গতকালের এই ঘটনার কথা বলছিলেন।
ঘটনাটি স্বপ্নের মতোই। মেলবোর্নের কলিন্স স্ট্রিট ধরে হাঁটছিলেন দিব্য। হঠাৎ দেখেন, রাস্তার এক পাশে কয়েকটি পুলিশের গাড়ি আর ভীষণ কড়াকড়ি। জনা ছয়েক দেহরক্ষীর বলয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে যেতেই দিব্যর বুকের ভেতরটা ধক করে উঠল, এ যে তাঁর স্বপ্নের নায়ক আমির খান! কিন্তু এত নিরাপত্তার মাঝে কথা বলা তো দূরের কথা, কাছে যাওয়াও তো সম্ভব নয়।
কিন্তু ভাগ্য সম্ভবত অন্য কিছুই লিখে রেখেছিল। ভিড়ের মধ্য থেকে কোনোভাবে আমির খানের চোখ পড়ে দিব্যর ওপর। তিনি ইশারায় দিব্যকে কাছে ডাকেন। দিব্যর ভাষ্যে, ‘হয়তো আমার চেহারাটা ওনার ছেলে জুনায়েদের মতো দেখতে মনে হয়েছে। আমরা তো উপমহাদেশের মানুষ কাছাকাছি চেহারার।’
আরও পড়ুনরাস্তায় হঠাৎ দেখা, দিব্যকে পিঠ চাপড়ে আদর দিলেন আমির খান২১ ঘণ্টা আগেদিব্য জ্যোতি ও তাঁর অভিনয়শিল্পী মা শাহনাজ খুশি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’