পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানোর ঘোষণা কিমের
Published: 19th, August 2025 GMT
পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। সম্প্রতি দেশটির সম্প্রতি নৌবাহিনীর নবনির্মিত যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শনকালে এমন ঘোষণা দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ। খবর ব্লুমবার্গের।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার বিপরীতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং। ওয়াশিংটন ও সিউল তাদের মহড়াগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক বলে দাবি করে আসলেও বিষয়টিকে যুদ্ধের উসকানি হিসেবেই দেখছে পিয়ংইয়ং।
কেসিএনএ আরো জানিয়েছে, নৌবাহিনীর নতুন যুদ্ধজাহাজ চো হিওন পরিদর্শনকালে কিম বলেন, “দেশের চারপাশের নিরাপত্তা পরিবেশের জন্য উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে এবং নৌবাহিনীর বিকাশ দ্রুত ঘটাতে হবে।”
আরো পড়ুন:
জেলেনস্কি এবার ট্রাম্পের কথা শুনেছেন বেশি, বলেছেন কম
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি
কিম আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র সামরিক জোট এবং পেশীশক্তির নড়াচড়া যুদ্ধের সূত্রপাতের তাদের ইচ্ছার সবচেয়ে স্পষ্ট প্রকাশ এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা পরিবেশ ধ্বংসের উৎস।”
সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নিয়মিত গ্রীষ্মকালীন মহড়া শুরু করেছে, এই কর্মকাণ্ডকে উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের মহড়া হিসেবে সমালোচনা করে আসছে।
কিমের মন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ধারাবাহিক মন্তব্যের মধ্যে সর্বশেষ। জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উদারপন্থি লি জে মিয়ং নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপের যে কোনো সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধজাহাজের অস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর কিম সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন যে, “নৌবাহিনীকে উচ্চ প্রযুক্তির ও পারমাণবিক অস্ত্রধারী করার জন্য প্রধান কাজগুলো পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলেছে।”
গত নভেম্বরে, কিম এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের দ্বারা সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলায় ‘সীমাহীনভাবে’ দেশের পারমাণবিক ক্ষমতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিম বলেন, “দেশের নিরাপত্তা রক্ষার একমাত্র উপায় হলো, উত্তর কোরিয়ার ‘শত্রুদের ভীত করা’, আর এটি ব্যবহারিক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ