যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব উল আলম বলেছেন, যৌক্তিক কারণেই ‘উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প’র ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সচিব জানান, অবকাঠামো, ডিজাইন, জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসায় প্রকল্পের ব্যয় প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত ৫৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

তিনি আরও বলেন, “আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫৩ লাখ টাকার মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। তবে পরবর্তীতে মাঠের আকার, দর্শক ধারণক্ষমতা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, ভলিবল, বাস্কেটবল কোর্ট, রুম ও গ্যালারি সংযোজনসহ সামগ্রিক কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।”

মাহবুব উল আলম জানান, আগের তুলনায় বর্তমান ডিজাইনের স্টেডিয়াম অনেক বড় এবং আধুনিক মানের। এটি শুধু খেলার মাঠ নয়, বরং বহুমুখী ক্রীড়া কার্যক্রম ও স্থানীয় পর্যায়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার হবে।

এ সময় সচিব আরও বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‘‘সরকার যুব সমাজের উন্নয়ন ও খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়েই উপজেলা পর্যায়ে এই মিনি স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তৃণমূল পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’’

ঢাকা/এএএম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প পর য য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ