সেই রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাস
Published: 19th, August 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির হাটে গরু বিক্রি করে প্রতারিত হয়েছিলেন বৃদ্ধ রইস উদ্দিন। গরু কিনে এক ক্রেতা তাকে জাল টাকা দিয়েছিল। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
রইস উদ্দিনের সেই কান্না একসময় ছুঁয়ে গিয়েছিল পুরো দেশের মানুষের হৃদয়। খবরটি পৌঁছে যায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের কাছেও। মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এ নায়িকা তার নিজ খরচে রইস উদ্দিনকে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে পাঠান।
ওমরাহ শেষে দেশে ফিরেছেন রইস উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) তার আমন্ত্রণেই গ্রামে ছুটে যান অপু বিশ্বাস। অপুর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করা হয়। এ ভিডিওতে দেখা যায়, রইস উদ্দিন নিজ বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন প্রিয় নায়িকাকে। আশপাশের মানুষজনও ছুটে আসেন অপু বিশ্বাসকে একনজর দেখতে।
আরো পড়ুন:
১২০ ক্রু সদস্য হাসপাতালে: রণবীরের সিনেমার শুটিং বন্ধ
ফোবানা সম্মেলনে জায়েদ খান
লাইভে অপু লিখেন, “রইস উদ্দিন চাচার সাথে সাক্ষাৎ।” এরপর ভক্ত-অনুরাগীদের মন্তব্যে ভরে ওঠে লাইভের কমেন্ট বক্স। কেউ লিখেছেন, “ভালোবাসার একটা মানুষ।” আবার কেউ লিখেছেন, “অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল। ভালো থাকুন।”
অপু বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জানাতে ভক্তদের কণ্ঠও ছিল ভরপুর। একজন মন্তব্য করেন, “আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।” আরেকজন দোয়া করে লিখেন, “মাশাল্লাহ, আল্লাহ আমাদের প্রিয় অপু বিশ্বাসের জীবনের সব অশান্তি, বিপদ এই উছিলায় দূর করুক।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অপ ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল