ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড.

গোলাম রাব্বানী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

‘ছাত্রলীগের সময় ছিল গণরুম-গেস্টরুম কালচার, এখন চলছে মুড়ি পার্টি’

‘বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষের মাধ্যমে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি’

তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে হলে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না। একইসঙ্গে নির্বাচনের দিন বৈধ ভোটার ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না।”

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে এবং ৯ সেপ্টেম্বর সারাদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না।

সেই সভায় আরেক রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রার্থীদেরকে সতর্ক করে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের শহীদদের অবমাননা করে কোনো ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ