ভারতীয় ক্রিকেটের প্রয়াত তারকাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএ)’। নতুন এক কল্যাণমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রয়াত ক্রিকেটারদের বিধবা স্ত্রীদের দেওয়া হবে এককালীন ১ লাখ রুপির অনুদান। প্রথম ধাপে প্রায় ৫০ জন নারী এই আর্থিক সহায়তা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট অর্থবছরের দ্বিতীয় বোর্ড মিটিংয়ে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। আইসিএ জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ আলাদা উদ্যোগ, যা আগে থেকেই চলমান পেনশন সুবিধা বা আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটারদের পরিবারের জন্য থাকা ভাতা ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিত নয়। বরং যেসব পরিবার অন্য কোনো সুবিধার আওতায় নেই, তাদের বিশেষভাবে সাহায্য করতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নতুন আইনে ফেঁসে গেল ড্রিম১১, স্পন্সর হারালো বিসিসিআই

ওপেনিংয়ে তারকার ভিড়, এশিয়া কাপ দল নিয়ে ধন্দে ভারত

আইসিএ এক সরকারি বিবৃতিতে জানায়, এই প্রকল্প আমাদের প্রয়াত ক্রিকেটারদের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিশ্রুতিরই অংশ। কঠিন সময়ে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।

এই নীতি সময় সময় পর্যালোচনা করা হবে। ভবিষ্যতে যদি বিসিসিআই বিধবা বা বিধুর জন্য নতুন পেনশন চালু করে, তবে তার সঙ্গে মিলিয়ে এই প্রকল্পও সামঞ্জস্য ও সমন্বয় করা হবে।


২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইসিএ প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। তারা এরই মধ্যে সদস্যদের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সিনিয়র মেম্বার রেকগনিশন প্রোগ্রাম: ৬০ বছরের বেশি বয়সী যেসব প্রবীণ ক্রিকেটার পেনশনের আওতায় নেই, তাদের দেওয়া হয় ১ লাখ রুপি।
স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প: সদস্যদের জন্য সর্বোচ্চ ২.

৫ লাখ রুপি পর্যন্ত কাভারেজ।
বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি: ইতিমধ্যে ২ হাজার ২০০ জন এই সুবিধা পেয়েছেন।
জরুরি চিকিৎসা তহবিল: সংকটে থাকা ৭৭ জন সদস্যকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীর জন্য এই অনুদান চালুর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, খেলার মাঠ ছাড়ার বহু বছর পরও ক্রিকেট পরিবারকে দেখভালের দায়িত্বে অবিচল রয়েছে আইসিএ। 

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই এই প রকল প র জন য পর ব র আইস এ

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ