প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের পাশে আইসিএ, এককালীন ১ লাখ রুপির
Published: 26th, August 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেটের প্রয়াত তারকাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএ)’। নতুন এক কল্যাণমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রয়াত ক্রিকেটারদের বিধবা স্ত্রীদের দেওয়া হবে এককালীন ১ লাখ রুপির অনুদান। প্রথম ধাপে প্রায় ৫০ জন নারী এই আর্থিক সহায়তা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট অর্থবছরের দ্বিতীয় বোর্ড মিটিংয়ে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। আইসিএ জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণ আলাদা উদ্যোগ, যা আগে থেকেই চলমান পেনশন সুবিধা বা আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটারদের পরিবারের জন্য থাকা ভাতা ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিত নয়। বরং যেসব পরিবার অন্য কোনো সুবিধার আওতায় নেই, তাদের বিশেষভাবে সাহায্য করতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নতুন আইনে ফেঁসে গেল ড্রিম১১, স্পন্সর হারালো বিসিসিআই
ওপেনিংয়ে তারকার ভিড়, এশিয়া কাপ দল নিয়ে ধন্দে ভারত
আইসিএ এক সরকারি বিবৃতিতে জানায়, এই প্রকল্প আমাদের প্রয়াত ক্রিকেটারদের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিশ্রুতিরই অংশ। কঠিন সময়ে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব।
এই নীতি সময় সময় পর্যালোচনা করা হবে। ভবিষ্যতে যদি বিসিসিআই বিধবা বা বিধুর জন্য নতুন পেনশন চালু করে, তবে তার সঙ্গে মিলিয়ে এই প্রকল্পও সামঞ্জস্য ও সমন্বয় করা হবে।
 ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইসিএ প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। তারা এরই মধ্যে সদস্যদের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
 সিনিয়র মেম্বার রেকগনিশন প্রোগ্রাম: ৬০ বছরের বেশি বয়সী যেসব প্রবীণ ক্রিকেটার পেনশনের আওতায় নেই, তাদের দেওয়া হয় ১ লাখ রুপি।
 স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প: সদস্যদের জন্য সর্বোচ্চ ২.                
      
				
বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি: ইতিমধ্যে ২ হাজার ২০০ জন এই সুবিধা পেয়েছেন।
জরুরি চিকিৎসা তহবিল: সংকটে থাকা ৭৭ জন সদস্যকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীর জন্য এই অনুদান চালুর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, খেলার মাঠ ছাড়ার বহু বছর পরও ক্রিকেট পরিবারকে দেখভালের দায়িত্বে অবিচল রয়েছে আইসিএ।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই এই প রকল প র জন য পর ব র আইস এ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’