আবেদনের শর্ত পূরণ না করেই শিক্ষক হন মেহেদী উল্লাহ
Published: 27th, August 2025 GMT
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। তিনি ২০১৬ সালে বিভাগটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।
অভিযোগ উঠেছে, আবেদনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এছাড়া নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে এক ছাত্রীকে প্রথম বানিয়ে নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবিতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের অবাধ বিচরণ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৪.
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদী উল্লাহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যথাক্রমে ৩.৩১ ও ৩.৬৮ সিজিপিএ নিয়ে প্রভাষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন এবং বিশেষ যোগ্যতা (পিএইচডি, এমফিল,জাতীয় পুরষ্কার, আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা) না থাকা সত্বেও তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে তিনি তার লেখা একটি বইকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখানো হয়।
বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে তিনি যে বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত নয়। বরং একটি প্রাইভেট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সেই নিয়োগ বোর্ডে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারী এবং ভালো সিজিপিএ ধারী আরো অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তাদেরকে বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে আবেদনের যোগ্যতা না থাকা মেহেদী উল্লাহকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মেহেদী উল্লাহর বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজের পছন্দের এক ছাত্রীকে শিক্ষক বানাতে তাকে প্রথম করে দেওয়া এবং অন্যদের সিজিপিএ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৩.৫০ এর নিচে নামিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগে তাকে একটি শিক্ষাবর্ষের সব কোর্স থেকে বিরতও রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদানের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে ।
যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করে নিয়োগের বিষয়ে ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং অপপ্রচার। সমস্ত শর্ত পূরণ করে, লিখিত এবং ভাইভাতে প্রথম হয়ে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি।”
নম্বর টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সত্য নয়। আমি কখনোই এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। নম্বর টেম্পারিং বিষয়টা কি, সেটাই আমি জানি না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “এসব বিষয় নিয়ে একাডেমিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।”
ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ য গ যত উল ল হ প রক শ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন