যাত্রীর চাপে জুস খেয়ে জ্ঞান হারালেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য
Published: 30th, August 2025 GMT
চলতি ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে তার সাথে থাকা জুস নিজেকে খেতে বাধ্য করান এক যাত্রী। সেই জুস খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান ওই ব্যক্তি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে এ ঘটনা ঘটে।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলন্ত ট্রেনে মা-মেয়েকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা ফুল মিয়া (৫৫)।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই এলাকার কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, বিরামপুর থেকে সৈয়দপুরগামী ট্রেনে ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটে বসেন মা-মেয়ে। পাশের ৭৭ নম্বর সিটে ছিলেন প্রতারক ফুল মিয়া। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি জুস খাওয়ান ওই দুই যাত্রীকে। জুস পান করার পরপরই কৌশিলা ও বীথি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সে সময় ফুল মিয়া তাদের গহনা খুলে নেন।
এসময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম বিষয়টি আঁচ করে ফুল মিয়াকে আটক করেন। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। পরে মা-মেয়েকে খাওয়ানো জুস তাকেও পান করতে বাধ্য করেন। জুস পানের পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন ফুল মিয়া।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী জানান, ভুক্তভোগী মা-মেয়ে ও আটক প্রতারককে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
তিনি আরো জানান, ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিন জনের কারোরই এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
ঢাকা/সিথুন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য়দপ র র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।
অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।
ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।
কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।