চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

সিদ্ধান্তগুলো হলো- আহত শিক্ষার্থীদের সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে (এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সব ব্যায়ভার বহন করছে); শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা মনিটর করার জন্য পাঁচ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে; শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চবি সংলগ্ন একটি মডেল থানা স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করা; রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশবক্স স্থাপনের ব্যবস্থা; আজকের (সোমবার) মধ্যেই উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন; পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় ঠিক করার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন; পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ; শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার স্বার্থে একটি হটলাইন সার্ভিস চালু।

বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্প্রীতি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

মো. কামাল উদ্দিন।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”

শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ