দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে চার দিন বন্ধ থাকার পর আবারো পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে। বিস্ফোরক সংকটের কারণে গত ২৮ আগস্ট থেকে উৎপাদন বন্ধ ছিলো।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং টু কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. অবায়দুল্লাহ।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার সকালে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক খনিতে এসে পৌঁছায়। এরপর সকাল থেকেই ভূগর্ভে কার্যক্রম চালু হয় এবং দুপুরের শিফট থেকে পুরোদমে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। এখন থেকে প্রতিদিন তিন শিফটে আগের মতোই পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টন পাথর উত্তোলনের আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।

মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে বেলারুশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। চুক্তি অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি।

উল্লেখ্য, উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরকের সংকটের কারণে এর আগে বেশ কয়েকবার মধ্যপাড়া খনিতে উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৪ সালে ২২ দিন, ২০১৫ সালে দুই মাস, ২০১৮ সালের জুনে সাতদিন, ২০২২ সালের মার্চে ১৪ দিন এবং একই বছরের মে মাসেও খনি বন্ধ ছিল।

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স ফ রক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ