ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারে থাকবেন না মেঘমল্লার
Published: 2nd, September 2025 GMT
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংসদের সভাপতি ও ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচারে থাকতে পারবেন না। মঙ্গলবার রাতে তারা অপারেশন হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি নিজেই এ কথা জানান।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন করার ঘোষণা আমিনুলের
নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেটাই সত্য হল। শরীর বিট্রেই করল। আজ রাতে এপেন্ডিক্স অপারেশন। সশরীরে আর মনে হয় ক্যাম্পেইন করতে পারব না। সরল অপারেশন এমনিতে। কিন্তু ডাক্তার কোনোভাবেই দেরি করতে রাজি নন। অবস্থা নাকি ইতিমধ্যেই বেশ খারাপ।”
তিনি রাজনৈতিক শত্রু-মিত্র সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
স্ট্যাটাসের কমেন্টে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের পাশাপাশি শুভকামনা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতারাও।
ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত বলেন, “সুস্থ হও দ্রুত, দোয়া রইলো।”
ঢাবি শিবিরের সভাপতি ও ডাকসুর জিএস পদপ্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, “দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা রইলো, দাদা।”
বাগছাসের প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, “তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান এই কামনা দাদা।”
উমামা ফাতেমার প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ও ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদি ভূঁইয়া বলেন, “সুস্থ হয়ে উঠুন, দাদা।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, “ফি আমানিল্লাহ ভাই, ইনশাআল্লাহ দেখতে আসবো।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’