খুলনায় জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করা হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা হয়। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় পুলিশ আহত, আটক ৩

বাকৃবিতে ছাত্রদল-যুবদলের হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ

জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল ডাকবাংলোস্থ মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময়ে আমাদের নেতাকর্মীরা কেউই কার্যালয়ে উপস্থিত ছিল না। হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে সাইনবোর্ড, দরজা, জানালা, গ্রিল, চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে। পরে তারা পুনরায় এসে বাকি আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র কার্যালয়ের বাইরে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়।” 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশ ঘটনার সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।” 

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এস কে রাশেদ বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিলটি ডাকবাংলো মোড়ে আসলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময়ে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদেরের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা লুটপাট করেনি। বিক্ষুদ্ধ জনতা ভাঙচুর বা লুটপাট করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।” 

খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশ সেখানে ছিল না।”

গত ৩০ আগস্ট গণঅধিকার পরিষদ খুলনায় জাতীয় পার্টি অফিসে হামলার চেষ্টা করেছিল। ভেতরে ঢুকতে না পেরে তারা সাইন বোর্ড ভেঙ্গে দেয়। 

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর