চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলার অভিযোগ, জামায়াতের উদ্বেগ
Published: 7th, September 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতি অবমাননা এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শতাধিক ছাত্রকে আহত করার অভিযোগ এনে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (৮ আগস্ট) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র্যালি হাটহাজারী মাদরাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদ্রাসার দিকে আঙুল তুলে ‘অশোভন অঙ্গভঙ্গি’ করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই আপত্তিকর ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্ররা সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় হাটহাজারী মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র আহত হয়। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
আরো পড়ুন:
নুরের চিকিৎসা ও বিচারে বিলম্ব কাম্য নয়: জামায়াত
‘হাসিনার শাসন জঘন্যতম অধ্যায় হয়ে থাকবে’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। সেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং স্পষ্ট উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সাথে সম্পৃক্ত। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ধর্মীয় পবিত্র স্থানসমূহকে যথাযথ সম্মান জানানো।”
তিনি বলেন, “এ ধরনের হামলা দেশ ও সমাজে বিভেদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার অশুভ প্রচেষ্টা। অথচ ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি, সংযম ও সহনশীলতা। আমরা বিশ্বাস করি, উত্তেজনা নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
“আমি সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক
লেখক, গবেষক ও প্রবীণ রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শোকবাণী দিয়েছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, “লেখক, গবেষক, প্রবীণ রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল হাশিম ছিলেন উপমহাদেশের একজন প্রভাবশালী মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতা। বদরুদ্দীন উমর একজন খ্যাতিমান লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ষাটের দশকে জাতীয়তাবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি বিষয়ে তার রচিত গ্রন্থগুলো মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব সময়ে সাংস্কৃতিক চেতনা গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে প্রভাব বিস্তার করে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হলেও তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।”
তিনি বলেন, “বদরুদ্দীন উমর গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহু অবদান রেখে গেছেন। আমি তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে তার শোকাহত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বদর দ দ ন উমর সন ত র স র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের
লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।
ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!
২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।
এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।
এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।