গঙ্গার পানিচুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ ও ভারত
Published: 8th, September 2025 GMT
গঙ্গা পানিচুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ। এই বিশেষ বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা যোগ দেবেন। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৩০ বছরের সেই চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে। ফলে তার আগে এই বৈঠকে নানা পর্যালোচনা এবং সংশোধন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রতি বছর দুইবার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই মতো চলতি বছরের মার্চে দু পক্ষের মধ্যে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরো পড়ুন:
সেরা অভিনেতা আল্লু, অভিনেত্রী রাশমিকা
কখনো কাঁধে মাথা, কখনো হাতে হাত, সামান্থার প্রেম অন্তর্জালে সয়লাব
৬ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা এবং গত ৭ মার্চ কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, যা দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক।
বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, নদী কমিশনের সদস্য আবুল হোসেনের নেতৃত্বে সোমবারই ঢাকা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের। মূলত গঙ্গা পানিচুক্তির সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সেটি দেখাই এই বৈঠকের প্রধান বিষয়।
এছাড়াও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ফরাক্কা ব্যারাজে থাকেন। প্রতিদিন চার বার করে জল ছাড়ার পরিমাণ খতিয়ে দেখেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ গড়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি চাইতে পারে। সূত্রের খবর, চুক্তিটি দীর্ঘমেয়াদি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
আরো জানা গেছে, বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টন ছাড়াও ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরীসহ মোট ১৪টি নদীর পানিবণ্টন চুক্তি করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাব করবে। বাংলাদেশ চায় উভয় দেশ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি মেনে এসব নদীর পানি ব্যবহার করুক।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ র প ন ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’