আড়াইহাজারে ডোবা থেকে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
Published: 8th, September 2025 GMT
আড়াইহাজারে নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে রবিউল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকার একটি ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা তাকে হত্যা করে ডোবা লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে।
নিহত রবিউল ইসলাম পাঁচরুখীর বাঘাইভিটা এলাকার মৃত আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে। তিনি গত রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
জানা গেছে, রবিউল রোববার সকাল নয়টার দিকে নাস্তা করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সোমবার বিকেলে উপজেলার পাঁচরুখী ফায়েজ উদ্দিন এর বাড়ীর পিছনে ডোবা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় রবিউলের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে এবং স্বজনেরা তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের মামা ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘আমার ভাগিনা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। ইউরোপ কান্ট্রিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওর কোনো শত্রুও ছিল না। কারা কী কারণে তাকে এমনভাবে হত্যা করল, বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, লাশের বেশ কয়েক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।