স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা
Published: 8th, September 2025 GMT
ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ২৬০ টাকা। সোমবার প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে স্বর্নের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ টাকা, সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ টাকা।
অন্যদিকে, স্বর্ণের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারো রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেটের ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম নত ন দ ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’